সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৯ অপরাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি॥ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঝালকাঠির নলছিটিতে বিরোধপূর্ণ জমিতে বসতঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এতে কৌশলে সাহায্য করছে পুলিশ। আদালতের
নিষেধাজ্ঞা জারি সত্ত্বেও বিবাদীপক্ষ বসতঘর নির্মাণের কাজ অব্যাহত রাখায় বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি ও ঝালকাঠির পুলিশ সুপারের সদয় দৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছে বাদীপক্ষ। জানা গেছে, উপজেলার সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের চৌদ্দবুড়িয়া গ্রামের প্রায়ত মুক্তিযোদ্ধা আ. খালেক মৃধার ছেলে মো. খোকন মৃধার সঙ্গে একই এলাকার মৃত তাজেল মল্লিকের ছেলে মো. মোকছেদ মল্লিক গংদের চৌদ্দবুড়িয়া মৌজার (জে.এল-১৩৯) এসএ ২৫২/২৫৩ খতিয়ানের ১৩৮৯/১৩৯১ দাগের ১২ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। বেশ কয়েকবার এ নিয়ে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করেও কোন সুরাহা হয়নি। আপোস মীমাংসার চেষ্টা ব্যর্থ হলে মো. খোকন মৃধা গত ৪ ফেব্রুয়ারি মো. মোকছেদ মল্লিক, মো. ফারুক মল্লিক, মোসা. সাফিয়া বেগম, মো. লোকমান মল্লিককে বিবাদী করে সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এতেও কোন সুরাহা না হওয়ায় গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রের আদালতে মামলা দায়ের করলে বিচারক বিরোধীয় জমিতে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। এরপর গত ১৯ ফেব্রুয়ারি নলছিটি থানার এএসআই অনিক সিদ্দিকী ১৪৪/১৪৫ ফৌ. কা. বিধিতে একটি নোটিশ জারি করেন। এতে পক্ষদ্বয়কে বিরোধীয় সম্পত্তিতে অনুপ্রবেশসহ সকল প্রকার কার্যক্রম থেকে বিরত থেকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বলা হয়।
মামলার বাদী ও এলাকাবাসীদের অভিযোগ, আদালতের আদেশ অনুযায়ী নোটিশ জারির পরে গত বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিবাদী পক্ষ বসতঘর নির্মাণ শুরু করেন। তাৎক্ষণিকভাবে বসতঘর তোলার বিষয়টি এএসআই অনিক সিদ্দিকীকে (নেটিশকারী) জানানো হলে তিনি ঘটনাস্থলে আসার কথা বলে আসেননি। নোটিশকারী কর্মকর্তা এএসআই অনিক সিদ্দিকীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয় কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
Leave a Reply